বিআরটি অনুমোদন ছাড়া ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল পরিচালনায় জেল-জরিমানা

বিআরটি অনুমোদন ছাড়া ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল পরিচালনায় জেল-জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে সরকার কঠোর আইন প্রয়োগ করছে। ২০১৮ সালের "সড়ক পরিবহন আইন" অনুযায়ী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটি) থেকে অনুমোদন ছাড়া কেউ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করলে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আইনের ধারা ও শাস্তি সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা ৬৬ অনুযায়ী, বিআরটি অনুমোদন ছাড়া ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালনা করলে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। নিয়ম-কানুন ও শর্তাবলী বিআরটি অনুমোদন ছাড়া ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালনা অবৈধ। ড্রাইভিং স্কুল পরিচালনার জন্য নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হয়—
✅ বিআরটি-এর অনুমোদন: ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল চালানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটি) থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
✅ প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ মান: প্রশিক্ষককে অবশ্যই নির্ধারিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
✅ পরিকাঠামো ও যানবাহন: অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ মাঠ, আধুনিক যানবাহন ও সঠিক ড্রাইভিং সিমুলেশন সুবিধা থাকতে হবে।
✅ আইন লঙ্ঘনের শাস্তি: অনুমোদন ছাড়া প্রশিক্ষণ চালালে ধারা ৬৬ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিআরটি-এর সতর্কবার্তা বিআরটি-এর এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা শুধুমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।”
উপসংহার দেশের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দক্ষ চালক তৈরি করতে বিআরটি অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রই একমাত্র বৈধ উপায়। অবৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিলে শিক্ষার্থীরা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ---
(আপনার এলাকার অনুমোদিত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বা স্কুলের তালিকা জানতে বিআরটি অফিস বা তাদের ওয়েবসাইটে দেখুন এবং ড্রাইভিং সিখুন )